ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে তার স্বামী ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার চরচারতলা এলাকার আবু চান মিয়ার ঘর থেকে কোহিনুর খানম নিতু নামে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কোহিনুর (৩০) ওই এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার মেয়ে।
ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী জুয়েল (৩২) পলাতক। এ ঘটনায় জুয়েলের পরিবারের পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, জুয়েলের বাবা আবু চান মিয়া , মা রহিমা বেগম , বড় ভাবি তানিয়া বেগম , ছোটভাই কামরুল ইসলাম (২৮) ও কামরুলের স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২৪)।
পুলিশ জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন কোহিনুর ও জুয়েল। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। দুজনের পরিবারই তাদের বিয়ে মেনে নেয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যবসা করার জন্য কোহিনুরের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক চান জুয়েল। কোহিনুর টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে এ নিয়ে কলহ হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ভোরে ওই গৃহবধূর কম্বল দিয়ে ঢাকা মরদেহ দেখতে পেয়ে জুয়েলের বাবা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রক্তমাখা বটি উদ্ধার করে।
জুয়েলের বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে জুয়েল ও কোহিনুরের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তাদের কথাবার্তা এক পর্যায়ে থেমে গেলে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে জুয়েলের ঘরের দরজা খোলা দেখেন তিনি। পরে ভেতরে গিয়ে কম্বলে প্যাচানো কোহিনুরের মরদেহ দেখতে পান।
কোহিনুরের বাবা মো. আবুল হোসেন জানান, বুধবার রাতেও কোহিনুরের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তবে সে সময়ে তিনি কোনো সমস্যার কথা জানাননি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ নিউজবাংলাকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে জুয়েল যৌতুকের জন্য কোহিনুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েলকে আটক করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।